শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার গৌতমপুর হতে সদর উপজেলার জৌকুড়া পর্যন্ত পদ্মা নদীর কোল(বদ্ধ) জলমহাল থেকে অবৈধভাবে মৎস্য শিকার করে নিচ্ছে কতিপয় অসাধু জেলে।
এ বিষয়ে আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা জারী এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না ইজারাদার খানগঞ্জ চন্দনী ইউনিয়ন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি আল আমিন।
ইজারাদার আল আমিন বলেন, গত ১০ই মার্চ ভূমি মন্ত্রণালয় ৬বছরের জন্য জলমহালটি আমার নামে ইজারা প্রদান করে। কিন্তু কিছু সংখ্যক লোক জলমহালটি দখল করার জন্য চেষ্টা করছে। এমনকি দিনে ও রাতে অবৈধভাবে জোরপূর্বক তারা মাছ মেরে নিয়ে যাচ্ছে। এতে আমি চরমভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। যার কারণে আমি লুৎফর রহমান, কাশি হালদার, নিরাঞ্জন হালদার, ওমর আলী, রাজীব, সাইদ, জিন্নাহ, লতিফ, আকমল, শুকুর আলী, মুক্তার ফকীর ও বিষু মন্ডল এই ১২জনের নাম উল্লেখ করে রাজবাড়ীর সহকারী জজ আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করি। গত ৩১শে জুলাই আদালত তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাজারী করেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অম্যান্য করে এরা অবাধে মৎস্য শিকার করে যাচ্ছে। যার ফলে আমি গত ৬ আগস্ট রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশের সুপারের কাছে অবৈধ মৎস্য শিকার বন্ধের দাবীতে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করি।
তিনি আরো বলেন, এ অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এস.এ শাখা হতে উল্লেখিতরা যাতে অবৈধভাবে মৎস্য শিকার করতে না পারে সে কারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ১৪ই আগস্ট কালুখালী ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে পত্র প্রেরণ করেন। এরপরও উল্লেখিতরা অবৈধভাবে এ জলমহল থেকে তারা মৎস্য শিকার করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে জানান, জলমহালটির কালুখালী উপজেলার অংশের কিছু লোক অবৈধভাবে মৎস্য শিকার করছে। ওমর আলী নামে এক প্রভাবশালী জেলে কয়েকজনের কাছ থেকে নৌকা প্রতি ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। মূলতঃ ওমর আলী অন্য জেলেদের টোলের টাকা ইজারাদার আল আমিনকে না দিয়ে তাকে দেয়ার জন্য বলছেন। কিন্তু ওমর আলীর কোন বৈধ ইজারার কাগজপত্র নেই। আর এ সুযোগে কিছু জেলে ইজারাদার এবং ওমর আলী কাউকেই টোলের টাকা না দিয়ে মৎস্য শিকার করছে। অপরদিকে ওমর আলী ও তার লোকজন অবৈধভাবে অবাধে মৎস্য শিকার করছে।
Leave a Reply